আফগানিস্তানে মাধ্যমিক স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে কাবুলে তালেবানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে স্কুল খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির। এ সময় ‘স্কুল খুলে দাও, ন্যায়বিচার-ন্যায়বিচার’, ‘শিক্ষা আমাদের অধিকার, মেয়েদের স্কুলের দরজা খুলুন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় বিক্ষোভরত নারী ও মেয়েদের ওপর কড়া নজর ছিল সশস্ত্র তালেবান সদস্যদের। এক নারী শিক্ষিকা বলেন, আমরা আমাদের মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের অধিকার আদায়ের জন্য এখানে এসেছি। এই অধিকার ছাড়া আমাদের মরে যাওয়াই ভালো। এর আগে গত ১৭ মার্চ আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফারসি নববর্ষের প্রথম দিন ২৩ মার্চ প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়ে সবার স্কুল খুলে দেওয়া হবে। পরে স্কুল খুলে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই আবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামি আইন ও আফগান সংস্কৃতি অনুসারে পরিকল্পনা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকছে।
তবে এ পদক্ষেপের কারণ বা কবে আবার মেয়েদের স্কুল খুলে দেওয়া হবে, এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। এদিকে আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশনা ও যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক আজিজ আহমদ রাইয়ান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের জাতিকে দেশের সবার শিক্ষার অধিকার প্রদানের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তবে তালেবান সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ওপর মেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকবে। আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা দেশজুড়ে শিক্ষকের অভাবের কথাও জানান। পাশ্চাত্য সমর্থনপুষ্ট আশরাফ গনি সরকারের পতনের পর তালেবানের ক্ষমতা আরোহনের পর বিপুলসংখ্যক লোক আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। আজিজ আহমদ রাইয়ান বলেন, আমাদের কয়েক হাজার শিক্ষক প্রয়োজন এবং এ সংকট সমাধানে আমাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।